নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে গত ২৯ জুলাই মক্কা নগরীর নিজ কর্মস্থল থেকে অপহরণপূর্বক নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ প্রায় এক মাস পর তার লাশ উদ্ধার করে সৌদি পুলিশ। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৪ অক্টোবর সৌদি আরবের মক্কায় নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
স্বপ্নের ভবিষ্যৎ বুনতে গিয়ে জীবন সায়াহ্নে দেশের মাটিও পেল না হতভাগা সাইফুল। সে পিএমখালী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিকপাড়ার হাজি মো. তৈয়বের ছেলে।
নৃশংস হত্যাকান্ডের সঙ্গে ইমরান হোসাইন ও আনছার উল্লাহ নামের দুইজনের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা সাইফুলের সঙ্গে থাকতো। এসব খুনি ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

নিহত সাইফুল, পাশে অভিযুক্ত ইমরান ও আনছার উল্লাহ

২৪ অক্টোবর বিকালে নিজ এলাকায় গায়েবানা জানাজা শেষে মানববন্ধনে সর্বশ্রেণী পেশার মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। খুনের ঘটনায় জড়িতদের ধিক্কার জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর আহবান জানিয়েছে এলাকাবাসী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইমরান ও  আনছার সৌদি আরবে সাইফুলের সাথে ছিল। অনেকটা সাইফুলের কাছে চাকরি করতো। যেদিন সাইফুল সৌদি আরবে মিসিং হলো ঠিক তার ১ সপ্তাহের মধ্যে দুজনই হুট করে বাংলাদেশে চলে আসে। তাদের চলাফেরা খুব বড়লোকি ভাবসাব। একজন খুব কম সময়ে দেশে ফের ছুটিতে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

সাইফুলের খুনিদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন

দীর্ঘ এক মাস পর সাইফুলের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর এই দুজন লাপাত্তা। দেশের ব্যবহৃত নাম্বার বন্ধ। এলাকা থেকে উধাও। পরিবার তাদের সন্ধান দিতে অনাগ্রহী। একজনের চেহারা ছুরত পরিবর্তন। আরেকজনের ফেসবুক আইডি গায়েব। যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ। এসব কারণে খুনের ঘটনায় তারা জড়িত থাকার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে সাইফুলের পরিবার। তাদেরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছে প্রবাসীরা।